আমাদের দেশে যে কোনো সরকারি-বেসরকারি নিয়োগ অথবা কোনো ভর্তিপরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের কোনো অংশে যে সত্যও লুকিয়ে থাকে না তাও বলা যায় না। কেনোনা অতীতে বহুবারই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা বলে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করছে এক বিশাল প্রতারকচক্র। লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ প্রতারকচক্র। গত বৃহস্পতিবার হয়ে যাওয়া এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভুয়া প্রশ্নপত্র কেনাবেচার সাথে জড়িত ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রতারকচক্রের সাথে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, হাসপাতালের চিকিৎসক এবংব্যাংক কর্মকর্তাদের মতো সমাজের দায়িত্বশীল মহলও।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একটি সক্রিয় অংশ রয়েছে যারা এর আগেও নানা সময়ে পরীক্ষার নকল প্রশ্নপত্র বিলি করেছে। এরা পরীক্ষার আগে প্রশ্ন কিনতে আগ্রহীদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার জন্য চুক্তিপত্রসহ নিজেদের পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট পর্যন্ত জমা দিয়ে থাকে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কেনার সময় কিছু টাকাদেয়া হয় বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা থাকে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র মিললে। এসব প্রশ্নের দাম লাখ লাখ টাকা হাকা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক মনে করে আর শিক্ষার্থী-অভিভাবকও মনে করছেন যে পরীক্ষা দিয়ে হয়তো ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না, তাই আগাম প্রশ্নপত্র কেনাই হচ্ছে একমাত্র উপায়। শিক্ষার্থীর বাবা-মাও নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সন্তানের জন্য প্রশ্ন সংগ্রহে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সমাজের অধঃপনের আর কী রূপ হতে পারে?
গত বৃহস্পতিবার এমএমবিএস পরীক্ষার প্রশ্ন প্রতারকচক্রেরপ্রশ্নের সাথে মেলেনি। তাই বলে বিষয়টিকে হালকা করে দেখারও সুযোগ নেই। পরীক্ষার আগের রাতে প্রতারকচক্রের দৌরাত্ম্যের কারণে যে অনেক শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক প্রস্তুতিতে ব্যাঘাতঘটেছে তা বলাই বাহুল্য। অনেক মেধাবীদের পরীক্ষায় খারাপের আশঙ্কাও বাদ দেয়া যায় না। অনেকেই হয়তো ধরেই নিয়েছে যে প্রশ্ন তো ফাঁস হয়েই গেছে, তাহলেআর পড়াশুনা করে কী লাভ। তাই প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রতারণাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগনেই। চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মতো লোকজন কীভাবে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত সেটাও বিশেষ ভাবনার বিষয়। হতে পারে যে তারা শুধু ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণা করছেন তাই নয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীচক্রের সাথেও তাদের সম্পৃক্ততা ও যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়গুলো স্পষ্ট না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরণের প্রতারণার সুযোগ থেকেই যাবে।
তবে এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে অহরহই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে বলেই তো প্রতারকরা এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে। এমবিবিএস’র এ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো গত ২৩ সেপ্টেম্বর। সরকারি একটি ছাপাখানা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বরগোপনে প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় এক কর্মচারী ধরা পড়লে পরীক্ষা এক সপ্তা পিছিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ এ বিষয়টি স্পষ্টই যে এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নপত্রেরনিরাপত্তাও যথেষ্ট নেই। একজন শ্রমিকেরও প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আর তাই এসবের সাথে আরও ঊর্ধ্বতনদেরকেউ জড়িত আছে কি-না সে সন্দেহও ঘনীভূত হয়। তাই এসব ঘটনার নিখুঁত ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত রয়েছেন কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার। জড়িত থাকলে অবশ্যই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যারা প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়, অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বিপর্যয়ের মুখোমুখি ঠেলে দেয় এদেরও কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একটি সক্রিয় অংশ রয়েছে যারা এর আগেও নানা সময়ে পরীক্ষার নকল প্রশ্নপত্র বিলি করেছে। এরা পরীক্ষার আগে প্রশ্ন কিনতে আগ্রহীদের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করার জন্য চুক্তিপত্রসহ নিজেদের পরীক্ষা পাসের সার্টিফিকেট পর্যন্ত জমা দিয়ে থাকে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্রশ্নপত্র কেনার সময় কিছু টাকাদেয়া হয় বাকি টাকা পরিশোধ করার কথা থাকে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র মিললে। এসব প্রশ্নের দাম লাখ লাখ টাকা হাকা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক মনে করে আর শিক্ষার্থী-অভিভাবকও মনে করছেন যে পরীক্ষা দিয়ে হয়তো ভর্তির সুযোগ পাওয়া যাবে না, তাই আগাম প্রশ্নপত্র কেনাই হচ্ছে একমাত্র উপায়। শিক্ষার্থীর বাবা-মাও নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সন্তানের জন্য প্রশ্ন সংগ্রহে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। সমাজের অধঃপনের আর কী রূপ হতে পারে?
গত বৃহস্পতিবার এমএমবিএস পরীক্ষার প্রশ্ন প্রতারকচক্রেরপ্রশ্নের সাথে মেলেনি। তাই বলে বিষয়টিকে হালকা করে দেখারও সুযোগ নেই। পরীক্ষার আগের রাতে প্রতারকচক্রের দৌরাত্ম্যের কারণে যে অনেক শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক প্রস্তুতিতে ব্যাঘাতঘটেছে তা বলাই বাহুল্য। অনেক মেধাবীদের পরীক্ষায় খারাপের আশঙ্কাও বাদ দেয়া যায় না। অনেকেই হয়তো ধরেই নিয়েছে যে প্রশ্ন তো ফাঁস হয়েই গেছে, তাহলেআর পড়াশুনা করে কী লাভ। তাই প্রশ্নপত্র নিয়ে প্রতারণাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখার সুযোগনেই। চিকিৎসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মতো লোকজন কীভাবে এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত সেটাও বিশেষ ভাবনার বিষয়। হতে পারে যে তারা শুধু ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণা করছেন তাই নয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীচক্রের সাথেও তাদের সম্পৃক্ততা ও যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়গুলো স্পষ্ট না হলে ভবিষ্যতেও এ ধরণের প্রতারণার সুযোগ থেকেই যাবে।
তবে এটাও ঠিক যে আমাদের দেশে অহরহই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে বলেই তো প্রতারকরা এ ধরনের প্রতারণার সুযোগ নিচ্ছে। এমবিবিএস’র এ ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো গত ২৩ সেপ্টেম্বর। সরকারি একটি ছাপাখানা থেকে গত ১৩ সেপ্টেম্বরগোপনে প্রশ্নপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় এক কর্মচারী ধরা পড়লে পরীক্ষা এক সপ্তা পিছিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ এ বিষয়টি স্পষ্টই যে এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নপত্রেরনিরাপত্তাও যথেষ্ট নেই। একজন শ্রমিকেরও প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। আর তাই এসবের সাথে আরও ঊর্ধ্বতনদেরকেউ জড়িত আছে কি-না সে সন্দেহও ঘনীভূত হয়। তাই এসব ঘটনার নিখুঁত ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত রয়েছেন কি-না তা খতিয়ে দেখা দরকার। জড়িত থাকলে অবশ্যই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। যারা প্রতারণার ফাঁদ পেতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়, অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বিপর্যয়ের মুখোমুখি ঠেলে দেয় এদেরও কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।