চুয়াডাঙ্গা ফোরাম
Would you like to react to this message? Create an account in a few clicks or log in to continue.

এসো বিজয়ের গান গাই...


You are not connected. Please login or register

কিছু ভালো লাগা গানের লিরিকস। পর্ব ১

Go down  Message [Page 1 of 1]

জোয়ার ভাটা

জোয়ার ভাটা

আগে যদি জানতাম --- লাকী আখন্দ
আগে যদি জানতাম
শিল্পী : লাকী আখন্দ
=================
আগে যদি জানতাম তবে মন ফিরে চাইতাম
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না
ও মন রে…
কিসের তরে রয়ে গেলি তুই
বলেছিলি তুই যে আমায়
আমি নাকি ভুলে যাবো
ভুলে আমি ঠিকই তো যেতাম
পোড়া মনে তোরই কথা
বারে বারে বেজে ওঠে
তাই তোকে আর ভোলা হলো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না রে
জানিনা কেনো যে আমায়
একা ফেলে চলে গেলি
ভুলেও কি মনে পড়ে না
তোরই মতো কোনদিনও
আমিও যে ভুলে যাবো
তবু এই জ্বালা প্রাণে সইবো না রে
এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না

যাক না উড়ে
যাক না উড়ে যদি বনের পাখি
যাক না উড়ে যদি বনের পাখি
মিলন মাহমুদ
যাক না উড়ে, যাক না উড়ে
যদি বনের পাখি, যদি বনের পাখি
পোষ না মানে, মনেরই ঘরে
যাক না উড়ে, যাক না উড়ে
তবু তারে রাখিস ধরে
হৃদয় জুড়ে যতনকরে
পাখি তোরেই বাসবে ভালো
আসবে ফিরে আসবে ফিরে
কাছে থাকলে বুঝবি কিরে
ওরে অবুঝ মন
এক দূরবীন দূরে গেলে
চিনবি আপনজন
মায়ার জালে ঘুরবি মিছে
একা হবি যখন
এক আসমান উড়ে যাবে
মেঘলা রংঙের মন

অ্যাম্বিশন ----- নচিকেতা
অ্যাম্বিশন
শিল্পী : নচিকেতা
==========
কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয় রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।
আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
ঠকানোই মূল মন্ত্র, আজকের সব পেশাতে,
পিছপা নয় বিধাতাও, তেলেতে জল মেশাতে।
ডাক্তার ভুলছে শপথ, ঘুশ খায় ইঞ্জিনিয়ার,
আইনের ব্যবচ্ছেদে, ডাক্তার সাজে মোক্তার।
যদি চাও সফলতা, মেনে নাও এই সিস্টেম,
ফেলে দাও শ্রোতের মুখে, আদর্শ বিবেক ও প্রেম।
এ সমাজ মানবে তোমায়, গাইবে তোমারই জয়গান।
আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
বড় যদি চাইবে হতে, সেখানেও লোকঠকানো।
সতভাবে বাঁচো বাঁচাও, একথা লোক ঠকানো।
সতভাবে যাবে বাঁচা, বড় হওয়া যাবে নাকো।
শুধু কথা না শুনে, বড়দের দেখেইশেখ।
এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে,
ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চোড়োজয়োরথে।
শত লাঞ্ছণা দিও, কোরো আমায় অসম্মান।
তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ হতে চায় ব্যবসায়ী, কেউ বা ব্যারিস্টার,
কেউ চায় বেচতে রূপোয়, রূপের বাহার চুলের ফ্যাশান।
আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
আমি কোনে বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।
তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন।

রঞ্জনা ----- অঞ্জন দত্ত
রঞ্জনা
শিল্পী : অঞ্জন দত্ত
________________
পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করেদেব
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই ।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।
ধর্ম আমার, আমি নিজে বেছে নিই নি, পদবীতে ছিলনা যে হাত।
মসজীদে যেতে হয়, তাই যাই বছরে দু এক বার।
বাংলায় সত্তর পাই আমি একজ্যামে,ভালো লাগে খেতে মাছ ভাত।
গাঁজা সিগারেট আমি কোনটাই খাই না, চড়তে পারি না আমি গাছ।
চশমাটা পড়ে গেলে মশকিলে পড়ি, দাদা আমি এখনো যে ইস্কুলে পড়ি।
কবজির জোরে আমি পারবো না।
পারবো না হতে রোমিও, তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও।
আসতে হবে না আর বারান্দায়।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।
বুঝবো কি করে আমি তোমার ঐ মেজ দাদা, সুধু যে তোমার দাদা নয়।
আরো কত দাদাগিরি, কবজির কারিগরি, করে তার দিন কেটে যায়।
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি নীলু বিলু কিম্বা নিতাই,
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারি না, ভ্যাবাচ্যাকা খাই।
চশমাটা পড়ে গেলে মশকিলে পড়ি, দাদা আমি এখনো যে ইস্কুলে পড়ি।
কবজির জোরে আমি পারবো না।
পারবো না হতে রোমিও, তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও।
আসতে হবে না আর বারান্দায়।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।

আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো --- কিশোর কুমার
আজ এই দিনটাকে মনের খাতায় লিখে রাখো
শিল্পীঃ কিশোর কুমার
----------------------
আজ এই দিনটাকে
মনের খাতায় লিখে রাখো
আমায় পড়বে মনে
কাছে দূরে যেখানেই থাকো
হাওয়ার গল্প আর
পাখীদের গান শুনে শুনে
আজ এই ফাল্গুনে
দুটি চোখে স্বপ্ন শুধু আঁকো
এসো আজ সারাদিন
বসে নয় থাকি পাশাপাশি
আজ শুধু ভালোবাসা বাসি
শুধু গান আর হাসাহাসি
রঙের বরষা ঐ
নেমেছে যে দেখো ফুলে ফুলে
দুটি হাত তুলে
আমাকে আরো কাছে ডাকো

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।
নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে
নেই তারা আজ কোন খবরে
গ্র্যাণ্ডের গীটারিস্ট গোয়ানীস ডিসুজা
ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেন ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে
পাগলা গারদে আছে রমা রায়
অমলটা ধুঁকছে দুরন্ত ক্যানসারে
জীবন করে নি তাকে ক্ষমা হায় ।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে
শুনেছি তো লাখ্ পতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগাগোড়া মোড়া সে
গাড়ীবাড়ী সবকিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল
বিজ্ঞাপনের ছবি আঁকতো
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে
নির্বাক শ্রোতা হয়ে
ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো ।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা
চারমিনারটা ঠোঁটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণু দে কখনো যামিনী রায়
এই নিয়ে তর্কটা চলতো
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে যেখানেই যে থাকুক
কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু হয়ে জমিয়ে আড্ডা মেরে
সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম ।
কবি কবি চেহারা কাঁধেতে ঝোলানোব্যাগ
মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতা তার হোল না কোথাও ছাপা
পেলনা সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোশালে ‘অ্যামেচার’ নাটকে
রমা রায় অভিনয় করতো
কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ
কি লিখেছে তাই শুধু পড়তো ।
সেই সাত জন নেই আজ
টেবিলটা তবু আছে
সাতটা পেয়ালা অজোও খালি নেই
একই সে বাগানে আজ
এসেছে নতুন কুঁড়ি
শুধু সেই সেদিনের মালী নেই
কত স্বপনের রোদ ওঠে এই কফি হাউসে
কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কত জন এল গেলো
কতজনই আসবে
কফি হাউসটা শুধু থেকে যায় ।
কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।
(সুরঃ সুপর্ণ কান্তি ঘোষ, শিল্পীঃ মান্না দে)

Back to top  Message [Page 1 of 1]

Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum